প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলায় গারো পাহাড়ের পাদদেশে রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা গ্রামটি অবহেলিত জনপদ। ভারতের সীমান্তবর্তী এই এলাকাটির বেকারত্ব, কর্মহীনতা ও অশিক্ষা পশ্চাৎপদতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত। রাণীশিমুল ইউনিয়নে বিশাল এলাকায় শিল্প ও কল-কারখানায় যেমন অনগ্রসর, তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাস্তবিকভাবে পিছিয়ে। উন্নতমানের কোনো স্কুল ও কলেজ না থাকায় গারো পাহাড় অঞ্চলসহ সমতলের বিরাট অংশ উচ্চতর ব্যবহারিক শিক্ষা এবং চাকরির ন্যায্য অধিকার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। ফলে, এ এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী একদিকে যেমন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বেকারত্ব সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁসধরা গ্রাম থেকে বাংলাদেশের সীমানার অভ্যন্তরে গারো পাহাড়ের প্রায় ১২ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকায় কোনো উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।

শিক্ষা ও শিল্পে পিছিয়ে থাকা এই দরিদ্র এলাকার বেকার সমস্যা দূর করার স্বার্থে, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী সৃষ্টি করার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার পথ উন্মুক্ত রেখে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করা, স্ব-উদ্যোগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের দ্বার উন্মোচনের অভিপ্রায় ও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বর্তমানে “হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ” নানামুখী শিক্ষা কার্যক্রমের তীর্থস্থান হিসেবে রূপান্তরিত ও সম্প্রসারিত হচ্ছে। শিক্ষায় এ অঞ্চলের ছেলেরা কিছুটা এগিয়ে গেলেও নারী শিক্ষায় অত্র এলাকাটি ছিল অনগ্রসর। ২০১৩ সালে এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জ্ঞান চর্চার প্রথম বাতিঘর ‘হালিমা আহ্সান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ’টি রিয়ার অ্যাডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম (অবঃ) (সচিব, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা) প্রতিষ্ঠা করেন, যা এ অঞ্চলে মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষার বিকাশ করে চলেছে।

শিক্ষা বিস্তার, নারীর অধিকার সমুন্নত রেখে শিক্ষিত জাতি গঠনে এই প্রতিষ্ঠানটি অপরিসীম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মানবিক, নৈতিক, এবং নারীর অধিকার সমুন্নত রেখে শিক্ষিত জাতি গঠনে এই প্রতিষ্ঠানটি নতুন উদ্যমে নানা ধরনের বাস্তবমুখী শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

শিরোনাম বিবরণ
প্রতিষ্ঠানের নাম হালিমা আহ্সান ইনষ্টিটিউট, ২০১৩
প্রতিষ্ঠাতা রিয়ার অ্যাডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম (অবঃ) (সচিব, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা)
প্রতিষ্ঠানের ধরণ ট্রাস্ট পরিচালিত সহ শিক্ষা – দুই বছর মেয়াদী (এসএসসি ভোকেশনাল, এইচএসসি বিএমটি, ও এইচএসসি সাধারণ শাখা)
EIIN NO ১৩৮০০৮
প্রতিষ্ঠানের কোড ৫৬০৫৫
এম.পি.ও কোড বি ২০২০৩৫২১৯৯

প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞানের আলোয় শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বিকশিত হবে, সৃজন-উৎসবের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিয়ে তারা গড়ে তুলবে আগামীর নতুন বিশ্ব। তাদের নেতৃত্বে পরিবার, সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে।

লক্ষ্য

আলোকিত প্রজন্মকে  আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত, সৃজনশীল, এবং উন্নত মন-মানসিকতা নিয়ে স্মার্ট দেশ ও সমাজ গঠনে প্রত্যয়ী ভূমিকা পালন করা।

উদ্দেশ্য

অত্র প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ:

 

  • বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক শিক্ষা
  • অন্তঃনির্হিত সুকুমারবৃত্তির চর্চা ও অনুশীলন
  • সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব উদ্ভাবন
  • মৌখিক ও লিখিত যোগাযোগ/প্রকাশভঙ্গির উন্নয়ন
  • উচ্চশিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা
  • প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কার্যকরী অবদান রাখা
  • ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুশাসন পালন

 

অবস্থান ও ঠিকানা

শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কি.মি. দূরে রাণী শিমুল ইউনিয়নের হাঁসধরা গ্রামে একটি মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। এই কলেজটি নিকটস্থ ঝিনাইগাতী কলেজ থেকে প্রায় ১৬ কি.মি. এবং বকশিগঞ্জ কলেজ থেকে ১০ কি.মি দূরে অবস্থিত।

 

প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা :

 

হালিমা আহ্সান ইনষ্টিটিউট
গ্রাম: হাঁসধরা
পোস্ট অফিস: ভায়াডাঙ্গা
পোস্ট কোড: ২১৩০ (রাণীশিমুল)
উপজেলা: শ্রীবর্দী
জেলা: শেরপুর